অনেক মহিলারই মাসিক চলাকালে বা মাসিকের পূর্ববর্তী সময়ে তলপেটে ব্যথা হয়ে থাকে যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় প্রাইমারী ডিসমেনোরিয়া (Primary Dysmenorrhea) নামে পরিচিত। এই সমস্যা অস্বস্তিকর হয়ে থাকে ও একইসাথে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। মাসিকের সময়
ব্যথা হওয়ার কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে, যেমন- এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis) (জরায়ুর বাহিরে এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু দেখা যায় এবং পেল্ভিসে ব্যথা হয়) বা ইউটেরিন ফাইব্রোয়েডস (Uterine fibroids)। এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হলো কি কারণে এই ব্যথা হচ্ছে তা চিহ্নিত করা ও এর চিকিৎসা করা। তবে একবার সন্তান প্রসবের পর অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।
কারণ
জরায়ুর সংকোচন-প্রসারন মাসিকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রোস্টাগ্লান্ডিন
(Prostaglandins) নামক এক ধরনের হরমোন জাতীয় পদার্থ মাসিকের সময় জরায়ুর সংকোচন-প্রসারণকে ত্বরান্বিত করে। প্রোস্টাগ্লান্ডিনের মাত্রা বেড়ে জরায়ু খুব দ্রুত সংকুচিত ও প্রসারিত হয় যার ফলে পেশীতে টান ধরে ও ব্যথা হয়। টান বা সংকোচন-প্রসারণের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে গেলে জরায়ুর রক্তবাহী ধমনী সরু বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়াও যে সকল কারণে এ সমস্যা হতে পারে সেগুলো নিম্নরূপঃ
এন্ডোমেট্রিওসিস
(Endometriosis) : এক্ষেত্রে জরায়ুর অভ্যন্তরীণ আবরণী টিস্যু জরায়ুসহ ফেলোপিয়ান টিউব, ডিম্বাশয় এবং পেল্ভিসে চলে আসে এবং ব্যথার সৃষ্টি করে।
ইউটেরিন ফাইব্রোয়েডস (Uterine
fibroids) : এই অবস্থায় জরায়ুর গাত্রে টিস্যু একত্রিত হয়ে পিন্ড সৃষ্টি করে। যার ফলে মাসিকের সময় ব্যথা হয়ে থাকে। তবে এই পিন্ড থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হয় না।
এডেনোমায়োসিস (Adenomyosis)
: এই অবস্থায় জরায়ুর অভ্যন্তরীণ আবরণী টিস্যু জরায়ুর পেশিবহুল দেয়ালে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
পেলভিক ইনফ্লামেটরী ডিজিজ (Pelvic
inflammatory disease) (পি-আই-ডি) (PID) : এটি মহিলাদের জননাঙ্গের একটি ইনফেকশন যা সাধারনত অনিরাপদ যৌন মিলনের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।
সারভিকাল স্টেনোসিস (Cervical
stenosis) : জরায়ুর মুখ ছোট হলে তা মাসিকের রক্তপ্রবাহে বাধা দেয় এবং জরায়ুতে চাপের সৃষ্টি করে ও ব্যথা হয়। আর/এস 71
No comments:
Post a Comment