চামড়ায় মেলানোসাইট নামের যে কোষগুলো থাকে, সেগুলো ধ্বংস হয়ে
গেলে এ রোগ দেখা দিয়ে থাকে। কেন কোষগুলো ধ্বংস হয় সে ব্যাপারে গবেষকরা এখনও
নিশ্চিত হতে পারেননি।
অনেকে মনে করেন, অ্যান্টিজেন অ্যান্টিবডির বিক্রিয়ায়
মেলানোসাইট নামক কোষটি ধ্বংস হয়ে থাকতে পারে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত যে কোনো
বয়সেই শ্বেতিরোগ হতে পারে। এটি সাদা-কালো এবং বাদামি সব বর্ণের মানুষের মধ্যেই হতে
দেখা যায়। তবে বংশগতভাবেও এ রোগ হতে পারে।
চিকিৎসা : এ রোগের চিকিৎসা দীর্ঘদিন চালাতে হয়। তবে ফল কতখানি
আসবে, তা মেলানোসাইট পুরোমাত্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে কিনা তার ওপর নির্ভর করে। দেখা
গেছে, ১৫-২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চিকিৎসা ছাড়াই নিজ থেকেই চামড়া কালো বা
স্বাভাবিক বর্ণ ধারণ করে। পুভা থেরাপিতে বেশ ভালো ফল লক্ষ্য করা গেছে। অনেকের মতে,
এ পদ্ধতিতে ৫০-৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে কম-বেশি সফলতা আসে। রোগীকে চিকিৎসার পাশাপাশি
রোদে যেতে বারণ করা হয়। এ ছাড়া রোগীকে নিশ্চিত করতে হয়, এটি ক্যান্সার হওয়ার আগের
আলামত নয় কিংবা কুষ্ঠরোগও নয়।
ডা. দিদারুল আহসান
ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ
আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা
মোবাইল ফোন : ০১৭১৫৬১৬২০০।
No comments:
Post a Comment