নিম পাতা যে উপকারী তা আমরা সবাই কম বেশি জানি। এটি প্রায় ৪ হাজার বছরের বেশী সময় ধরে উপমহাদেশের আয়ুবের্দ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে রূপচর্চায়ও এর ব্যপক ব্যবহার রয়েছে। নিমপাতার গুণে মুগ্ধ হয়ে পশ্চিমারাও আজকাল ঝুঁকে পড়ছে ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়।
আজকে জেনে নেই রূপচর্চা এর বহুবিধ কিছু ব্যবহার:-
ব্রণ দূর করতে
নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী। তাই ত্বকের সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই। ব্রণের সংক্রমণ হলেই নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফল নিশ্চিত। নিম পাতা পেষ্ট করে মধুর সাথে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্রণ সেরে যায়।
স্কিন টোনার হিসেবে
নিমপাতা স্কিন টোনার হিসেবেও ব্যাবহার করা যায়। প্রতিরাতে তুলার নরম বল নিমপাতা সেদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এতে মুখের কালো দাগ, ব্রণ, ক্ষত চিহ্ন, দূর হবে। একইভাবে চুলে ব্যাবহার করলে খুশকি ও চুল পড়া বন্ধ হবে।
ফেসপ্যাক তৈরিতে
১০-১২টি নিমপাতা ও একটি ছোট কমলা খোসা ছাড়িয়ে অল্প পরিমাণ পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। উপকরণগুলো মসৃণ করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। অল্প পরিমাণ দুধ ও মধু পেস্টে মেশাতে হবে। ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে ৩বার ব্যাবহার করা যাবে। এটি ত্বকের ব্রুণ, কালো দাগ, চেহারায় ক্ষতের গর্ত দূর করবে। মধু এবং নিম উন্নতমানের ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
চুল পড়া রোধে নিমপাতার উপকারিতা
১। চুলের যত্নে নিমপাতার গুনের শেষ নেয়। চুল পড়া বন্ধ করতে হলে প্রতি সপ্তাহে একদিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টারমত রাখতে হবে। এক ঘন্টা পর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।দেখবেন চুল পড়া কমার সাথে সাথে চুল নরম ও কোমল হবে।
২। মধু ও নিমপাতার রস একত্রে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ দিন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগাতে হবে। তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করতে হবে। এভাবে ব্যবহার করতে থাকলে চুল ঝলমলে সুন্দর হবে।
৩। এক চা চামচ আমলকির রস, এক চা চামচ নিমপাতার রস, এক চা চামচ লেবুর রস, প্রয়োজন অনুযায়ী টকদই মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন চুলে লাগিয়ে আধঘণ্টা অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। দেখবেন নিমপাতা শুধু চুল পড়া বন্ধ করে না একইসঙ্গে খুশকি ও উকুন দূর করতে সাহায্য করবে।
৪। নিমপাতা সিদ্ধ পানি ও মধুর একটি পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগান। এটি একটি ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া খুশকি দূর করতেও কাজে লাগে। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুল্কানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে, চুল শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা কমে যায় এবং চুল গজানো তরাণ্বিত হয়।
দেহের ইনফেকশন দূর করনে
দেহের ইনফেকশন দূর করতে দুই লিটার পানির মধ্যে ৫০টি নিমপাতা সিদ্ধ করতে হবে। পাতাগুলো নরম ও বিবর্ণ না হওয়া পর্যন্ত পানি ফুটাতে হবে। পানি সবুজ রং ধারণ করলে নামিয়ে বোতলে ঢেলে রাখতে হবে। প্রতিদিন গোছলের পানিতে ৮০-১২০মিলি পরিমাণের নিমপাতার পানি মিশিয়ে গোছল করলে চামড়ার ইনফেকশন দূর হবে। এছাড়া ব্রণ এবং হোয়াইট হেডস দূর হবে।
নিমের প্রসাধনির গুন
নিমের সাবান, তেল, লোশন, ট্যালকম পাউডার, শ্যাম্পু, ক্রীম, টুথপেস্ট, পাতার ক্যাপসুল বেশ প্রচলিত পণ্য। নিমের এসব পণ্য ত্বককে মসৃণ করে ও ইনফেকশনের হাত থেকে দূরে রাখে।
নিমপাতার
গুনাগুন
ও
উপকারিতা
অ্যালোভেরার
১৭টি
বিস্ময়কর
উপকারিতা
জেনে
নিন
অ্যালোভেরার
অপকারিতা
আরও জানুন-
নিমপাতার
গুনাগুন
ও
উপকারিতা
অ্যালোভেরার
১৭টি
বিস্ময়কর
উপকারিতা
জেনে
নিন
অ্যালোভেরার
অপকারিতা
Note: আমাদের এই লেখার উদ্দেশ্য চিকিৎসা নয়, জ্ঞানার্জন। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিকিৎসা করা/নেওয়া কোন মতেই উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় যে কোন ঔষুধের ব্যাপারে দয়াকরে চিকিৎসকের পরার্মশ
নিন। দয়া করে লেখাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।
No comments:
Post a Comment