অ্যালোভেরা খুব প্রচলিত সৌন্দর্য উপাদান। কেবল সৌন্দর্য বাড়াতে নয়, স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও এটি বেশ উপকারী।
সাধারণত ডায়াবেটিস, হেপাটাইটিস, পাকস্থলীর আলসার, অ্যাজমা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদির চিকিত্সায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এটি কার্যকর।
তবে অ্যালোভেরার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। অতিরিক্ত অ্যালোভেরা জুস গ্রহণ শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে। জেনে নিন অতিরিক্ত অ্যালোভেরা গ্রহণের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া.....
১) অতিরিক্ত অ্যালোভেরা জুস গ্রহণে ত্বক অ্যালার্জি হতে পারে।
২) রক্ত চাপ কমে যেতে পারে।
৩) গর্ভধারণ ও স্তনদানে জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৪) লিভার টক্সিসিটি তৈরি হয়।
৫) কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৬) শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীন হয়।
৭) পাকস্থলীর সমস্যা তৈরি হতে পারে।
৮) পাইলস বা হেমোরয়েডসের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
সৌন্দর্য বাড়াতে বা স্বাস্থ্যগত উপকারে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতেই পারেন। তবে অ্যালোভেরা কতটুকু গ্রহণ করবেন, এ বিষয়ে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াটাই ভালো।
আরও ভালো জানার জন্য পড়ুন:-
অ্যালোভেরার উপকারিত অজানা নয়। অ্যালোভেরাকে ঘৃতকুমারীও বলা হয়। এটি বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ এবং দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মতো। এর পাতাগুলি পুরু, দু’ধারে করাতের মতো কাঁটা এবং ভেতরে পিচ্ছিল শাঁস থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই প্রাকৃতিক ভেষজ ঔষধ হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে। এই রসালো উদ্ভিদের পাতায় রয়েছে বিশ রকমের খনিজ পদার্থ যা মানবদেহের জন্য যে ২২টি এমিনো অ্যাসিড প্রয়োজন সেগুলো এতে বিদ্যমান। এছাড়াও ভিটামিন এ, বি-ওয়ান, বি-টু,বি-ওয়ানটু,বি-সিক্স, সি ও ই রয়েছে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, এই উদ্ভিদটি অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব যা এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে দেয়। ড্যান্ড্রাফ,এজমা,সেরিয়াসিসের মতো রোগগুলোর জন্য স্কিন কেয়ার চিকিৎসাগুলোতে অ্যালোভেরা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এতো গুণ যে উদ্ভিদের সেটি কি শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে? এ বিষয়ে হয়ত আমরা কেউ কখও সেভাবে চিন্তাও করে দেখিনি!
চিকিৎসকদের মতে, অ্যালোভেরার জেল নিরাপদ যখন এটি ওষুধ বা জেল হিসেবে চামড়ায় প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে সাধারন ভাবে যখন অ্যালোভেরার ভেতরের রসালো পদার্থটি বের করা হয় তখন এর সঙ্গে ভুলবশত ‘অ্যালো লেটেক্স’বের হতে পারে। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ল্যাটেক্স অ্যালোভেরার পাতার ভিতরই থাকে। যার রঙ হলদে হয়। যদি অ্যালোভেরার শাঁসের সঙ্গে এই ল্যাটেক্স শমশে যায় আর উহা যদি খাওয়া হয় তবে এটি শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। অ্যালো ল্যাটেক্স পেট ব্যথা সহ ক্র্যাশ যেমন কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আর অজান্তেই যদি ল্যাটেক্স এর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করা হয় তবে ডায়রিয়া, প্রস্রাব রক্ত, কিডনি সমস্যা, পেশী দুর্বলতা, কম পটাশিয়াম, ওজন হ্রাস এবং হৃদয় ব্যাঘাত ক্লেইন ল্যাটেক্সের উচ্চমাত্রা এমনকি কিডনি ফেইলির ঝুঁকির মধ্যে রাখতে পারে। এবং অ্যালো ল্যাটেক্স ব্যবহারের ফলে গর্ভের বাচ্চা ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে মায়ের বুকের দুধ সন্তানকে খাওয়ার মাধ্যমেও এর ক্ষতিকর প্রভাব মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রেও ত্বকে ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অ্যালো ল্যাটেক্স খাওয়ানোর মাধমে শিশুর ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা হতে পারে।
ভারতীয় একটি হেলথকেয়ার সেন্টারের প্রধান এবং পুষ্টিবিজ্ঞানী ডা. দীপী বাগি বলেন, অ্যালোভেরা ওজন কমানোর এবং বিষাক্ততা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। আমলা এবং অ্যালোভেরার শরবত এমন একটি পানীয় যাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি রয়েছে। যা মানবদেহের খাবার হজমে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আরেক পুষ্টিবিজ্ঞানী অমরদ্বীপ করের মতে, অ্যালোভেরা, আমলা এবং নীম শারীরিক জটিলতায় ঔষধ হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এগুলোর সঠিক প্রয়োগ না হলে এমনকি অতিরিক্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে শরীরে আরো রোগ ব্যাধির বিস্তার ঘটতে পারে।
রূপচর্চায় নিমপাতার গুনাগুন
নিমপাতার
গুনাগুন
ও
উপকারিতা
অ্যালোভেরার
১৭টি
বিস্ময়কর
উপকারিতা
আরও জানুন-
No comments:
Post a Comment