‘জরায়ু ক্যান্সার
রোধে বাল্যবিয়েকে না বলুন’
জরায়ু মুখের ক্যান্সার পরিস্থিতি ও
উত্তরণে বাংলাদেশে বাল্যবিয়েকে জোরগলায় না বলতে হবে। বাল্যবিয়ের কারণে শতকরা ৫৪
ভাগ নারীর জরায়ু ক্যান্সার হয়ে থাকে। যেসব মেয়ে ১৬ বছরের আগে বিবাহিত জীবনযাপন করে
তাদের জরায়ুর ক্যান্সার অবশ্যম্ভাবী।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শনিবার জরায়ু মুখের ক্যান্সার
সচেতন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘জরায়ু
মুখের ক্যান্সার পরিস্থিতি ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব মন্তব্য করেন চিকিৎসক ও
গবেষকরা।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি অনকোলজি বিভাগের
চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবেরা খাতুন বলেন, বাংলাদেশ থেকে জরায়ু ক্যান্সার নির্মূল করা
সম্ভব, যদি স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের আগে থেকে সচেতন করা যায়।
এ ব্যাপারে সরকারি সাহায্য-সহযোগিতাও প্রয়োজন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগের অধ্যাপক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হাজারও
রোগী চিকিৎসার জন্য বিদেশে অনেক টাকা খরচ করছেন।
যদি আমাদের দেশে সঠিক ডায়াগনসিস করা হতো, তাহলে হয়তো এ অবস্থা হতো
না। গোলটেবিল বৈঠকে মার্চ ফর মাদারের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট
ও হাসপাতালের ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদারের
সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন- এনআইসিআরএইচ’র সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শেখ গোলাম মোস্তফা, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব হেলথ ইকোনমিকসের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ,
সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment