পরিনত হয়। জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধী টিকা এই হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে জরায়ুকে রক্ষা করে।
প্রায় ৭০ ধরনের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে
hpv-16 ও hpv-18 এই দুটি টাইপকে প্রায় দুই-তৃত্বীয়াংশ জরায়ুর ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয়। এদের প্রতিরোধে দুই ধরনের টিকা FDA (U.S. Food and Drug Administration) কতৃক অনুমোদিত যা Gardasil ও Cevarix নামে বাজারে পাওয়া যায়। এ দুটি টিকাই
hpv-16 ও hpv-18 এর সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রায় ১০০ ভাগ কার্যকরী এবং ভবিষ্যতে জরায়ু ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৭০ ভাগ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই টিকা hpv জনিত জেনিটাল এবং এনাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১১ থেকে ১৪ বছরের যেকোন বালক-বালিকা এই টিকা নিতে পারবে। অর্থাৎ সেক্সুয়াল এক্সপোজার বা এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমনের পুর্বেই এর টিকা নিতে হয়। তবে ২৬ বছর পর্যন্ত টিকাটি নেয়া যায়। এর পর এ টিকাটি নিতে চাইলে hpv
DNA টেস্ট করে দেখে নেয়া যেতে পারে ইতিপুর্বেই সে এই জীবানুটি দ্বারা সংক্রমিত কিনা। তিনটি ডোজে এই টিকা দেয়া হয়। প্রথম ডোজ টি দেয়ার এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং ছয় মাস পর পরবর্তী ডোজটি দিতে হয়। ১৫ বছরের আগে শুধুমাত্র দুটি দোজ নিলেই যথেষ্ট। এই টিকার কোন সাইড ইফেক্ট নাই। এটি দেয়ার পর বড় কোন শারীরিক সমস্যা হয় না,কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইঞ্জেক্সনের স্থানে ব্যাথা ও প্রদাহ,ঝিমুনি ভাব,মাথা ব্যাথা বা এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
মনে রাখতে হবে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধক এই টিকা অন্যান্য কারন জনিত জরায়ু
ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম না। তাই এ টিকা নেয়ার পরও জরায়ু ক্যান্সার সনাক্তকরনের জন্য স্ক্রিনিং টেস্ট(পেপ বা ভায়া টেস্ট)নিয়মিত ভাবে করে যেতে হবে।
ডা. নুসরাত জাহান
সহযোগী অধ্যাপক (গাইনী-অবস),
ডেলটা মেডিকেল কলেজ।
চেম্বার: ডিপি আর সি হসপিটাল, শ্যামলী, ঢাকা।
No comments:
Post a Comment