Breaking

Tuesday, January 8, 2019

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই

সারা বিশ্বে শিশু ও বয়স্ক সব বয়সের কোটি কোটি রোগী হাঁপানিতে ভুগছেন। নানা পরিবেশগত কারণে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একটু সচেতন ও সতর্ক থাকলে আপনি নিজের হাঁপানিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেন।
অতিসংবেদনশীলতার কারণে শ্বাসতন্ত্রের পেশির সংকোচনের ফলে হাঁপানি দেখা দেয়। হাঁপানির জন্য
এককভাবে কোনো কিছুকে দায়ী করা যায় না। তবে বংশগত ও পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে শ্বাসতন্ত্র অতিসংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে। শ্বাসকষ্টই এর প্রধান উপসর্গ। সঙ্গে কাশি, বুকে চাপ, বুকে শোঁ-শোঁ শব্দ থাকতে পারে। রাতের বেলায় এই শ্বাসকষ্ট সাধারণত বাড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারে হাঁপানি বা অ্যালার্জির ইতিহাস থাকতে পারে।
হাঁপানি চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো উত্তেজক পদার্থ, যা থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তা থেকে দূরে থাকা। সাধারণত এগুলো হলো ধুলাবালি ও ধুলার পোকা (ডাস্ট মাইট), ঝুল, পাখির পালক, পশুর লোম, ফুলের রেণু, বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার ধোঁয়া, সুগন্ধি, রাসায়নিক ইত্যাদি। এ ছাড়া ঠান্ডা হাওয়া, ভাইরাস সংক্রমণ, পরিবেশদূষণ, কিছু ওষুধ, অতিরিক্ত পরিশ্রম বা আবেগজনিত কারণেও হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। হাঁপানি নির্ণয়ে রোগের ইতিহাস, পারিবারিক ইতিহাস ও বুকের শব্দ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া স্পাইরোমিটার দিয়ে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা দেখা হয়।
হাঁপানির চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ইনহেলার ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রায় এগুলো ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। যেমন হাঁপানি রোগী পশুপাখি, ধুলাবালি, ঝুল ইত্যাদি থেকে দূরে থাকবেন, ধূমপান করবেন না। উলের কম্বল, পালকের বালিশ ব্যবহার করবেন না, সপ্তাহে এক দিন গরম পানিতে তোয়ালে, বালিশের কভার, চাদর ইত্যাদি ধুয়ে নেবেন। কড়া সুগন্ধি বা যেকোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের আগে সতর্ক হোন। হাঁপানি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় বা নির্মূল করা যায় না, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে ভালো থাকা যায়।
ডা. মো. আজিজুর রহমান

No comments:

Post a Comment

Featured Post

যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির ঔষধ

ইনটিমেট  Intimate উপাদান ইনটিমেটঞগ ৫ ট্যাবলেট: প্রতিটি ফিল্ম কোটেড  ট্যাবলেটে আছে টাডালাফিল ৫ মি.গ্রা.। ইনটিমেটঞগ ১০ ট্যাবলেট: প্রতি...