জেনে নিন ডুমুরের অবিশ্বাস্য গুণ এবং ডুমুর রান্নার সহজ রেসিপি !!
ডুমুর নরম ও মিষ্টি জাতীয় ফল। গ্রাম গঞ্জে যেখানে সেখানে ডুমুর গাছ দেখা যায় কিন্তু শহরে পাওয়া যায় না। ডুমুর গাছ কেউ লাগায় না, আপনা আপনি হয়। তবে এটা ফুটতে সময় লাগে এং বাজারে
কিনতে পাওয়া যায় না। ডুমুরের আবরণ খুবই পাতলা এবং অভ্যন্তরে অনেক ছোট ছোট বীজ রয়েছে। ডুমুরের পাতা খসখসে হয়।
ডুমুর খুবই উপকারী। এর ফল শুকনো ও পাকা অবস্থায় ভক্ষণ করা যায়। তবে সবসময় মনে রাখতে
হবে, ডুমুরের ভেতরের অংশ অখাদ্য। খেলে ক্ষতি হতে পারে। ডুমুরের বাইরের অংশ রান্না করে খাওয়া যায়। ডুমুরের বাহিরের অংশ কেটে নিয়ে রান্না করা হয়। গ্রামাঞ্চলে বিনা পয়সায় ডুমুর পাওয়া যায় কিন্ত ফেলনা ভেবে আমরা কদর করি না। তবে ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানা থাকলে একে আমরা অবহেলা করতাম না। চলুন এবার দেখে নেই ডুমুরের অবিশ্বাস্য গুণ সম্পর্কে!
হবে, ডুমুরের ভেতরের অংশ অখাদ্য। খেলে ক্ষতি হতে পারে। ডুমুরের বাইরের অংশ রান্না করে খাওয়া যায়। ডুমুরের বাহিরের অংশ কেটে নিয়ে রান্না করা হয়। গ্রামাঞ্চলে বিনা পয়সায় ডুমুর পাওয়া যায় কিন্ত ফেলনা ভেবে আমরা কদর করি না। তবে ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানা থাকলে একে আমরা অবহেলা করতাম না। চলুন এবার দেখে নেই ডুমুরের অবিশ্বাস্য গুণ সম্পর্কে!
► ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডুমুরের রস খুবই উপকারী
► ৩-৫ টি ডুমুর প্রতিদিন খেলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়
► মেয়েদের মাসিকের সময় বেশি রক্তস্রাব হলে কচি ডুমুরের রসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে উপকার হয় এবং রক্তপিত্ত সারে
► ডুমুর পিত্ত ও আমাশয় রোগে উপকারী
► এতে অধিক পরিমাণে লোহা আছে (অতিরিক্ত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে)
► রক্তপিত্ত, রক্তপড়া এবং রক্তহীনতা রোগে উপকারী
► জ্বরের পর ডুমুর রান্না করে খেলে এটি টনিকের কাজ করে
► দুধ ও চিনির সঙ্গে ডুমুরের রস খেলেও অধিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়
► আমাশয় হলে ৩ দিন কচি ডুমুরের পাতা আতপ চালের সাথে চিবিয়ে খেলে ভালো হয়
► সাদা ও রক্ত আমাশয় হলে ডুমুর গাছের ছালের ২ চামচ রস এবং মধু মিশিয়ে দুই বেলা খেলে উপকার হয়
► মাথা ঘোরা রোগে ডুমুর ভাজি করে খেলে উপকার পাওয়া যায়
► অতিরিক্ত হেঁচকি উঠলে ডুমুরের বাইরের অংশ কেটে পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঐ পানি ছেঁকে এক চা চামচ করে খেলে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়
► ডুমুর গাছের ছাল পানি সহ সিদ্ধ করে সেই পানি দ্বারা ত্বক ধৌত করলে চর্মের বিবর্ণতা এবং ক্ষত রোগে উপকার হয়
► দুধের সাথে সিদ্ধ করে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পাকে
► ক্ষুধামন্দা রোগে ১ চা চামচ কাঁচা ডুমুরের রস খাওয়ার পর সেবন করলে ভাল ফল পাওয়া যায়
সতর্কতা
অতিরিক্ত ডুমুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে এবং যকৃৎ, পাকস্থলী ও দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।
ডুমুর কোপত রান্নার সহজ রেসিপি
যা যা লাগবে
ডুমুর সিদ্ধ ৪ কাপ, আলু সিদ্ধ ১ কাপ, মযদা আধা কাপ, নারকের দুধ ১ কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁযাজ বাটা ৩ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, দরুচিনি গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে ডুমুর, আলু, ময়দা, একটু লবণ আর অল্প মরিচের গুঁড়া একসঙ্গে ভালো করে চটকে মেখে নিন। এবার গোল গোল কোপতা আকারে গড়ে গরম তেলে ছেড়ে বাদামি রঙ করে বেজে তুলুন। এবার তেলের মধ্যে নারকেল দুধ বাদে সব উপকরণ মসলা ছেড়ে কষাতে থাকুন। একটু পানি দিন। তেল ভেসে উঠলে কোপতাগুলো মসলায় ছেড়ে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন। এবার নারকেল দুধ দিযে মাঝারি আঁচে ৫/৬ মিনিট ঢেকে রাখুন। তেল ভেসে উঠে সুগন্ধ ছড়ালে নামিয়ে ভাত, রুটি, পোলাও, পরোটা, লুচির সঙ্গে পরিবেশন করুন
No comments:
Post a Comment