বাজারে মেদ কমানোর জন্য নানান রকমের ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। পেট বা বাহুর মত শরীরের যেসব অংশে মেদ কমানো কষ্টকর, এসব ক্রিম সেই সব স্থানে ব্যবহারের জন্যই। যদিও চিকিৎসকেরা বলেন এগুলো ব্যবহার করা খুবই ক্ষতিকর। তাহলে উপায়? উপায় হচ্ছে নিজের ঘরেই একদম স্বল্প
পছন্দের ফিগার! মাত্র ৭ দিন ব্যবহারেই ফলাফল পেতে শুরু করবেন এবং প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বলে এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
প্রকৃতির কাছে আছে সব সমস্যার সমাধান। তাই মেদ কমানোর কাজেও আমরা নেব প্রকৃতির আশ্রয়।
যা যা লাগবে
১০০ এম এল বেবি ক্রিম (সদ্য জন্মানো শিশুদের ব্যবহারের জন্য যে ক্রিম। ভালো দেখে নামকরা ব্রান্ডের নেবেন।)
২০ ফোঁটা অরেঞ্জ বা লেমন এসেনশিয়াল অয়েল
২-৫ ফোঁটা দারুচিনির এসেনশিয়াল অয়েল
প্রণালি
-একটি কাঁচের কৌটায় ক্রিম নিন। এর সাথে বাকি দুটি এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন। মিশিয়ে নিন।
-এরপর ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা ক্রিমটি এভাবেই রেখে দিন। নির্দিষ্ট সময় পর আরও একবার ভালো করে মেশান। ব্যাস, তৈরি আপনার ক্রিম।
- এইক্রিম এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। এরপর নতুন করে তৈরি করতে হবে। তবে এক মাসের আগে শেষ করে ফেলাই ভালো।
-সূর্যের আলো থেকে দূরে মুখ বন্ধ কাঁচের যারে সংরক্ষণ করুন।
ব্যবহার প্রণালি
-ক্রিমটি নিয়ম করে প্রতিদিন গোসলের পর ব্যবহার করুন।
-যেসব স্থানে মেদ কমাতে চান, সেসব অঞ্চলে ক্রিমটি ভালো করে ম্যাসাজ করুন। দেহে ময়েশ্চারাইজারের কাজও করবে এই ক্রিম।
-ক্রিম ব্যবহারের পর সেইদিন আর গোসল করবেন না। তাতে উপকারিতা কমে যাবে।
মনে রাখুন
এই ক্রিমটি যেসব স্থানের মেদ কমানোর জন্য কার্যকর, যেসব স্থানে ত্বকের নিচে জমা মেদ কমানো খুবই কষ্টকর। যেমন থাই, হিপ, বাহু, পেট ইত্যাদি এলাকায়। মেদ কমিয়ে এই ক্রিমটি ত্বককেও সুন্দর করে তোলে। তবে বুকে বা স্তনে এই ক্রিম ব্যবহার করবেন না। বা শরীরের কোন অভ্যন্তরীণ অঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
বেবি ক্রিম অন্য যে কোন ক্রিমের তুলনায় আমাদের জন্য নিরাপদ। আর কমলা বা লেবুর মত টক জাতীয় ফলের এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের নিচে জমে থাকা মেদ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। দারুচিনির এসেনশিয়াল অয়েল এমনিতেই কার্যকরী বস্তু, আর কমলা বা লেবুর সাথে মিলে এতই হয়ে ওঠে আরও কার্যকর!
No comments:
Post a Comment